বিআইটিতে পড়ার সময় আর স্কুলের সময়টা আমার সবচেয়ে ভাল কেটেছিল। স্কুলে পড়ার সময় ছিলাম পুরোপুরি ভোদাই একটা। বাসা টু স্কুল আর স্কুল টু বাসা ছাড়া আর কোন কাজ ছিল না। আমার সবচেয়ে বড় বন্ধু ছিল আমাদের বাসার কাজের ছেলে ফরহাদ। ফরহাদ আমাদের বাসায় এসেছিল যখন আমি ক্লাস টুতে পড়তাম, আর চলে গিয়েছিল ইন্টার পাশ করার পরে, সুতরাং সব কিছুর মাঝে ও ছিল আমার খেলাধুলার সঙ্গী।
বিআইটিতে পড়ার সময় সুমির সাথে পার করেছি সারাদিনের বেশীর ভাগ সময়। কি ছিল সেই সব দিন, আহ। ভোরেঊঠে ক্লাসে দৌড়, অ্যাসাইনমেন্ট, পরীক্ষা আর ফাঁক পেলেই সুমির সাথে বেড়িয়ে পড়া। দুজন মিলে প্রতিদিন বিকেলে বসে থাকতাম পদ্মার পাড়ে, জায়গাটা মনে হত অনেক নিজের, অনেক কাছের। প্রতিদিন বিকেলে বিসমিল্লাহ হোটেলের মোগলাই আর চা দিয়ে হত নাস্তা। হলে ফেরার সময় আবার দুজনের মন খারাপ, কতক্ষন আবার দেখা হবে না। মাঝে মাঝে যেতাম রাজশাহী ইউনিভার্সিটির পাবলিক লাইব্রেরির সামনে মানিক মামার দোকানে কলিজার সিংগাড়া খাওয়ার জন্য। কখনো কাজলায় চায়ের টংএ চলে যেত ঘন্টার পর ঘন্টা।
আজকে দুজনে মিলে গিয়েছিলাম বুমারস এ, দুপুরের খাবার খেতে। অনেক দিন পরে একটু সময় করতে পারলাম। সবকিছু সেইসব দিনের মত, শুধু পার্থক্য একটাই, আজ আমাদের মাঝখানে আফিফ নামে একজন দেবদূত থাকে সবসময়।
রিকশায় করে ফেরার সময় সুমি আমাকে নামিয়ে দিল পেজফ্লেক্স অফিসের সামনে। নামিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে মনে পড়ল ও আমাকে এভাবে রাজশাহীতে হলের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যেত ওর হলে… নিজের অজান্তেই নস্টালজিক হলাম
খারাপ হয়না মাঝে মাঝে কাজ ফেলে সেই আগেকার দিনগুলোর মত বেড়িয়ে পড়তে পারলে।